সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫

কমিটি গঠনের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ


                 সমাজ কল্যাণ মূলক অরাজনৈতিক জাতীয় ভিত্তিক  সামাজিক সংগঠন

কমিটি গঠনের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ

কাগজ পত্র জমা আছেঃ  নাম করণ ও অনুমোদনের জন্য জমাকৃত স্বাক্ষরযুক্ত গ্রহণ কপি তাং- ১১/০৭/১৫ইং  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার  এবং নাম করণ ও অনুমোদনের জন্য জমাকৃত স্বাক্ষরযুক্ত গ্রহণ কপি তাং- ১৩/০৭/১৫ইং   জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু ভবন, সড়ক নং- ৩২, ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা ১২০৯ এবং প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার উৎসাহ অনুপ্রেরণায় ও পরামর্শে গঠিত সংগঠন 

 কমিটি গঠনের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ
কমিটি গঠনের আগেই সিদ্ধান্ত নিতে হবেঃ  কোন অবস্থায় বিতর্ককৃত ব্যাক্তি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, মাস্তান, রাজনৈতিক কোন বিতর্কৃত ব্যাক্তি কমিটিতে থাকতে পারবে না কারন, সার্বজনীন জাতির পিতা অরাজনৈতিক সংগঠন  

যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা যাবেঃ  দানশীল, সমাজসেবক, সচেতন নাগরিক, ডাঃ, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক, শিক্ষক, ব্যবসায়িক, সাবেক কর্মকর্তা, বুদ্দিজীবী, সামাজিক সংগঠক, পেশাজীবী, আইনজীবী এবং সকল প্রকার সচেতন নাগরিক 
   
/ কেন্দ্রীয় কমিটি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচিত বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাপী
/ কার্যকরী কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট দুই বছর জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাছাইকৃত এই কমিটি কেন্দ্রের রুটিন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন। 
গ/ উপকমিটি সময়ের প্রয়োজনে বিশেষ কমিটি ৫/৭ ৯/১১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি দ্বারা বাছাইকৃত কেন্দ্রের রুটিন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হবে । 
ঘ/ মহানগর কমিটি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি দ্বারা ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হবে  । উপধারা ১/ক, জেলা, মহানগর কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির সমমর্যাদা প্রাপ্ত হবেন এবং জেলা, মহানগর কমিটির সাধারন সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবেন । উপধারা ১/খ, জেলা, মহানগর কমিটির এই একি ভাবে অন্য পদ গুলো কেন্দ্রীয় পদবী অনুযায়ী যুগ্ম পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবে ।



গ/, বিশেষ কমিটি যথা, নির্বাচন কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি, সুপ্রিমকোট  আইনজীবী কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ নিয়ে গঠিত কমিটি, পেশাজীবী কমিটি, সাংস্কৃতিক কমিটি অথবা কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বারা ঘোষিত যে কোন কমিটিকে বিশেষ মর্যাদা ঘোষিত করিতে পারিবেন তবে এই সকল কমিটি মহানগর কমিটির সমপদমর্যাদা প্রাপ্ত হবেন । উপধারা ১/ঘ, থানা কমিটির সভাপতি মহানগর কমিটির সহসভাপতির পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবেন । সাধারন সম্পাদক ঐ একি ভাবে মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবেন । অন্য পদ গুলো মহানগর কমিটির পদবী অনুযায়ী যুগ্ম পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবে অন্য কমিটি গুলো পদবী অনুযায়ী যুগ্ম পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবে যেমন, ওয়ার্ড / ইউনিয়ন, থানা, জেলা/ মহানগর/ বিশেষ কমিটি গুলো ।     
ঙ/ জেলা কমিটি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি দ্বারা ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত এবং অনুমোদিত
চ/ থানা কমিটি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি দ্বারা নির্বাচিত ৪ বছরের জন্য এবং মহানগরের থানা  কমিটি মহানগর কমিটি গঠন করিবেন । 
ছ/ যে কোন কারনে কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলা, থানা কমিটি বিলুপ্তি হলে স্বল্প সংখক সদস্য নিয়ে যথা- ১৫ সদস্য অথবা ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা যাবে। ৯০ দিনের জন্য উক্ত কমিটি গঠনতন্ত্রের সকল ধারা মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন । একজন সদস্য একাধিক দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন আর ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব বুঝিয়া লইবেন ।
জ/  ওয়ার্ড অথবা ইউনিয়ন কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত
ঝ / ওয়ার্ড কমিটি থানা কমিটির পরামর্শক্রমে মহানগর কমিটি অনুমোদন দিবেন । একি ভাবে ইউনিয়ন কমিটি ও থানা কমিটির পরামর্শে প্রাথমিক ভাবে জেলা কমিটি অনুমোদন দিবেন এবং ৯০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন গ্রহণ করিতে হবে অন্যথায় উক্ত কমিটির কার্যক্রম বন্ধ/ বহিষ্কার বা অবৈধ ঘোষিত করিতে পারিবেন এবং অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার দাঁয়ে বা বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ এর নাম, প্রতীক ব্যবহারের দাঁয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন
মহানগর/ জেলা/ থানা/ পৌরসভা / ওয়ার্ড/ ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদনের জন্য সংগঠনের ফরম পূরণ, দুই কপি ছবি এবং জন প্রতি ১০০ টাকা জমা দিতে হবে স্থায়ী উপরের কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করতে হবে । তবে উক্ত কমিটির স্থায়ী উপরের কমিটি গুলোর সুপারিশ স্বাক্ষর যুক্ত থাকতে হবে ।
  
কার্যনির্বাহী সভা/ বিশেষ সভা/ নিধারিত সভার বিষয় বিত্তিক
হাজিরা খাতা, উপস্থিত স্বাক্ষর গ্রহণ করুন
(মনে রাখতে হবে মুল সভার আগের দিন অথবা তার আগে একটি প্রস্তুতি সভা শুরু করবেন নিতিনিধারনগণ তাতে সভার ভুলত্রুটি যেনো না হয় সেই বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি আবশ্যক)

সভার আলোচ্য সুচিঃ
০১/ সংগঠনের সাংগঠনিক বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় যারা অংশ গ্রহণ করবেন তাদের নামের তালিকা তৈরি করুন।
০২/ পবিত্র কুরান পাঠের মাধ্যমে সভা শুরু করুন বা অন্য ধর্মীয় ভাবেও হতে পারে । 
০৩/  সভাপতির অনুমোদনক্রমে সভাশুরু হবে ।
০৪/ সভার আলোচ্য বিষয় ও সাংগঠনিক গঠন মূলক তথ্য নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সাধারন সম্পাদক এবং সাধারন সম্পাদক নিধারিত বক্তব্য পেশ করতে পারবেন সভার মাঝে ।
০৫/ সভাপতি সভাকে তিন ভাগে মূল্যায়ন করবেন ।
ক/ সাংগঠনিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে সেই বিষয়ে উপস্থাপন ও অনুমোদন
খ/ নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে উপস্থাপন ও অনুমোদন
গ/ সাংগঠনিক কোন বিষয়ে পরামর্শ, বাস্তবায়ন কমিটি বা উপকমিটির বিষয়ে কোন দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দিবেন এবং সভাপতি সকল সভ্যগনের বক্তব্য শ্রবন করবেন এবং নোট করবেন মনে রাখা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য । নতুন প্রস্তাব যদি থাকে সেই বিষয়ে সকলের মতামতক্রমে এবং মতামত পক্ষে বা বিপক্ষে কতজন সেই বিষয়ে খেয়াল রেখে শেষে নিজে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন তবে মনে রাখবেন যে দিকে সমর্থ বেশি বলে বিবেচিত হবে সেই মতামত গ্রহণযোগ্যতা পাবে । তার বক্তব্যর সকল বিষয়ে তুলে ধরবেন এবং সমাপ্ত ঘোষণা দিবেন ।  

বিশেষ সভা বা যে সভা উপলক্ষ সভা,
এই বিশেষ সভা করার আগে থেকে একটি উদযাপন কমিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে  এবং অনুষ্ঠান শুরুর ৭ দিন আগে থেকে আরো একাদিক টিম গঠন করে অনুষ্ঠানটি সার্বিক সাফল্য সুন্দর ভাবে পরিচালনা করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে ।    
কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে আগত অথবা নিমন্ত্রিত অতিথি তালিকা অনুযায়ী সভা শুরু হবে । প্রতিটি অতিথির নিদিষ্ট আসন সংরক্ষণ থাকবে । স্থায়ী আসন গুলো এবং মিডিয়া আসন গুলো সংরক্ষণ করতে হবে । মনে রাখবেন সাংগঠনিক পদাধিকার বলে নিজ সংগঠনের ব্যাক্তিবর্গ প্রতি সম্মান প্রদর্শন আবশ্যক কোন অবস্থায় অসম্মান করা যাবে না ।